শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইস্তাম্বুলকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি এরদোগানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৮, ২:১৪ পিএম

ঐতিহাসিক ইস্তাম্বুল নগরীকে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

রবিবার ইস্তাম্বুলের ‘ইয়েনিকাপি স্কোয়ারে’ জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) বিশাল নির্বাচনী সমাবেশে এরদোগান এই প্রতিশ্রুতি দেন।

সমাবেশে হাজার হাজার এরদোগান সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা অংশ নেন। তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের ফলাফলকে একটি নির্ধারক হিসেবে দেখা হয়।


সমাবেশে বক্তৃতাকালে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, গত ১৬ বছরে ইস্তাম্বুল প্রকল্পে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং এতে শহরের শিক্ষা, অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক জীবন ব্যাপকভাবে উন্নতি লাভ করেছে।

এরদোগান আরো বলেন, তার সরকার দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িয়ে ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। আতাতুর্ক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পুনর্নির্মাণসহ ইস্তাম্বুলকে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প অব্যাহত রয়েছে।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, ইস্তাম্বুলের জন্য সাতটি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, ইস্তাম্বুলে আরো একটি বিমানবন্দর নির্মাণ, মেট্রো লাইন এবং ইস্তাম্বুল-ইজমির হাইওয়ে প্রতিষ্ঠা।

তিনি আরো বলেন, একে পার্টির সরকার সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে দাঁড়িয়েছে। তিনি বিরোধীদলের সন্ত্রাসবিরোধী কৌশলগুলি ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীও উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্য করার মতো, বিশেষত আফ্রিকান দেশগুলির অনেক ছাত্র-ছাত্রী সমাবেশে অংশ নেয়।

স্থানীয় ‘এনটিভি টেলিভিশন’ এর প্রতিবেদককে এসব বিদেশির একজন জানান, তাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য এরদোগানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সমাবেশে এসেছেন।

গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট এরদোগান নির্ধারিত সময়ের এক বছরেরও বেশি আগে নির্বাচন আহ্বান করেন। অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য তুরস্কের একটি শক্তিশালী নির্বাহী প্রেসিডেন্সির প্রয়োজনের কথা বলে এরদোগান আগাম নির্বাচন দেন।

গত বছরের গণভোটে একজন শক্তিশালী প্রেসিডেন্টের পক্ষে রায় দেয় দেশটির জনগণ। এই রায়ের ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করা হয় এবং প্রেসিডেন্টকে বিচারপতিদের নিয়োগ এবং ডিক্রি জারির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। গণভোটের আগে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদটি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ নিউজ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন