বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেল তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গত সোমবার ডিএসইর বোর্ড সভায় কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, মবিল যমুনার পর দেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় আইপিও নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইপিওতে উত্তোলিত অর্থ আকারে এটি তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি। এর আগে ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে গ্রামীফোন ছয় কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৪৮৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের পরিশোধ করতে হয় ৭০ টাকা। এরপর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২০১০ সালে পুঁজিবাজার থেকে ৫০৮ কোটি টাকা তোলে মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেড। জানা যায়, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে লটারিতে বিজয়ীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার পৌছানোর পরপরই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। আর গত ৩০ মে রাজধানীর খিলক্ষেতে অবস্থিত বসুন্ধরা কনভেনশন হলে আইপিওর লটারির ড্র সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটি।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা পেপার বাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭ টি শেয়ার ইস্যু করে ১৯৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে কাট অফ প্রাইস বা ৮০ টাকা দরে ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছে ১২৫ কোটি টাকায় ইস্যু করা হয়। বাকি ১ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার কাট অফ প্রাইসের ১০ শতাংশ কমে ৭২ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫২ টাকায় বিক্রি করা হয়। আর বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের আইপিওতে মোট ৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৬৮৩ কোটি ৫৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকার আবেদন পড়েছিল। সে হিসাবে ৯.১২ গুণ বেশী আইপিও আবেদন পড়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য মতে, আইপিও’র টাকা দিয়ে কোম্পানির যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ মেটাতে ব্যয় করা হবে। ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানির ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৬ টাকা এবং সম্পদ মূল্যায়ন শেষে এনএভি হয়েছে ৩০.৪৯ টাকা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। -ওয়েবসাইট

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন