স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচাবাজার সংলগ্ন রাস্তার ওপর দোকান নির্মাণের ওপর তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ এ আদেশ দেন। রুলে ওই জায়গায় (আল হেলাল ও আইডিয়াল জোন) দোকান বরাদ্দ দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। ডিসিসির উচ্ছেদের পর দোকান নির্মাণ শিরোনামে ১৮ মার্চ ও ‘সড়ক দখল করে ২০০ দোকান’ শিরোনামে গত ২৫ মার্চ দু’টি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বাবুলসহ এজিবি কলোনির ১৩ বাসিন্দা রিট আবেদন করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দখল করে গড়ে তোলা মতিঝিল এজিবি কলোনির কাঁচাবাজারটিকে ‘অবৈধ’ বলে ১৪ মার্চ উচ্ছেদ করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কিন্তু উচ্ছেদের দুইদিনের মাথায় একই স্থানে আবার শুরু হয়েছে দোকানঘর নির্মাণকাজ। এবার রীতিমতো ইটের দেয়াল তুলে পাকা দোকান করা হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব ও সম্পত্তি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এজিবি কলোনি কাঁচাবাজারে দোকান করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র নামের একটি সংগঠনকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ এজিবি কলোনিবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সাল থেকে সব সরকারের আমলেই দফায় দফায় উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ এই কাঁচাবাজার। ১৪ মার্চ উচ্ছেদের পর ১৬ মার্চ আবার নির্মাণকাজ শুরু হয়। মাত্র দুইদিনে ৭০টির মতো দোকানের দেয়াল তোলার কাজ শেষ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন