ভারী বর্ষণের সাথে জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ফের তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। বর্ষার মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার ফলে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামে থেমে থেমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সকালে প্রবল বর্ষণের সময় সামুদ্রিক জোয়ার শুরু হলে দ্বিমুখী পানির চাপে বন্দরনগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ, বহদ্দার হাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুর, ষোলশহর, শোলকবহর, কাতালগঞ্জ, প্রবর্তক, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ, আগ্রাবাদ, সিডিএ, হালিশহর, কাট্টলী, পতেঙ্গা, কাটগড়, সাগরিকাসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। অনেকেই গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। দমকা হাওয়ার সঙ্গে অতিবৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে আমদানি মালামাল লাইটারিং খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের কন্টেইনারসহ বিভিন্ন ধরনের খোলা পণ্যসামগ্রীর ডেলিভারি পরিবহন কমে গেছে।
এদিকে দু’দিনের টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে হালদা, সাঙ্গু, ফেনী, মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢলের তোড়ে ফটিকছড়ি, রাউজান, মীরসরাই, হাটহাজারী, পটিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
বর্ষণ ও জোয়ারে গতকাল বন্দরনগরীর ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে গেছে। অনেক স্থানে বসতঘর, গুদাম, আড়ত, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরীর কাঁচা বাজারগুলো পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট সড়ক প্লাবিত হয়ে দিনভর নগরীজুড়ে একদিকে যানবাহনের সঙ্কট, আবার কোন কোন সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। কর্মজীবী লোকজন চলাচলে কষ্ট পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আষাঢ়ের এই বর্ষণ স্বাভাবিক। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন