গোল মিসের মহড়া দিয়ে শুরু, সুইস ক্রন্দনে শেষ। এক যুগ পর বিশ্বমঞ্চে ফিরে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সুইডেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলর ম্যাচে গতকাল তারা সুইজারল্যান্ডকে হারায় ১-০ গোলে। সেন্ট পিটার্সবার্গে সুইডিশদের উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা ইমিল ফর্সবার্গ।
১৯৫৮ সালের রানার্স আপ সুইডেন বিশ্বকাপের গত দুই আসরে ছিল অনুপস্থিত। এবার বিশ্বাকাপ তারা শুরুই করেছিল বাছাইপর্বে ইতালিকে বিদায় করে। সেই ধারা অব্যহত রয়েছে মূল পর্বেও। গ্রæপ পর্ভে জার্মানির মত দলকে পিছনে ফেলে নক আউট পর্বে, এরপর সুইস বাধা পেরিয়ে শেষ আট। ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম শেষ আটে উঠল হলুদ জার্সিধারীরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দিনের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া ইংল্যান্ড ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিজয়ী দল।
সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথমার্ধে দু’দলই ছিল সুযোগ নষ্ট করার প্রতিয়োগিতায়। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সুইডেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা কার্কাস বার্গ অন্তত দুটি সুযোগ হাস্যকর ভাবে নষ্ট করেন। অফসাইডের ফাঁদ গলে বল পেয়ে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে বল উড়িয়ে মারেন বারের উপর দিয়ে, পরেরটি জায়গা করতে না পারায় সুইস ডিফেন্ডার আকানজির বøকের শিকার হন। প্রথমার্ধেই তার আরেকটি সুযোগ দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ৪২তম মিনিটে মিকায়েল লুস্তিগের ক্রস ব্যাক পোস্টে ফাঁজা জালে ভলি রাখতে পারেননি আলদিন একদাল।
সুইসরাও যে এসময় সুযোগ পায়নি তা নয়। বলের দখল রেখে সুযোগ তৈরী করেন শাকিরি-জাকারাও। কিন্তু আক্রমণের সমাপ্তিটা তাদেরও ভালো ছিল না। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল কয়েকটি পা ঘুরে আসে বেøরিম জিমাইলির পায়ে। কিন্তু তিনি শট পোস্টে না রেখে বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারার মত কঠিন কাজটিই করেন।
৬৬তম মিনিটে অবশেষে জালের দেখা পায় সুইডিশরা। দলের সবচেয়ে বড় তারকা এমিল ফর্সবার্গ বক্সের বাইরে থেকে গড়ানো শট নেন। কিন্তু বল সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকানজির পায়ে লেগে পোস্টের কোনা দিয়ে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক সোমারের চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। গ্যলারিতে তখন হলুদের ঢেউ। গত ১৬ বছরে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এটি ছিল সুইডেনের প্রথম গোলে। ২০০২ সালে সেনেগালের বিপক্ষে শেষ গোলটি করেছিলেন সুইস হেনরিক লারসন। ম্যাচ অবশ্য শেষ করতে পারেননি ফর্সবার্গ। নির্ধারিত সময়ের আট মিনিট আগে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন লাইপজিগ মিডফিল্ডার।
যোগ করা সময়ে ডি বক্সের সামান্ন বাইরে মার্টিন ওলসনকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মাইকেল ল্যাং। ফাউলটি পেনাল্টি নাকি ফ্রি-কিক এর মিমাংশা পেতে ভিডিওর সহায়তা নিতে হয় রেফারিকে। ফ্রি-কিক থেকে অবশ্য গোল আদায় করতে পারেননি তিভোনেন। এরপর আর খেলা মাঠে গড়ায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন