যেভাবে গরম বাড়ছে, তাতে শরীরকে চাঙ্গা এবং রোগমুক্ত রাখতে শসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের ডায়েটে যদি শসাকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে শরীরের পানির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকার পাওয়া যায়।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : নিয়মিত শসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে হার্টের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে কোনও ধরনের হার্টের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের প্রতিদিনের ডায়েটে শসাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
খনিজের ঘাটতি দূর হয় : খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই ত্বকের পরিচর্যায় শসাকে কাজে লাগিয়ে থাকেন। শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,পটাসিয়াম এবং সিলিকন। এই সবকটি খনিজ শরীরের উন্নতির পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি অল্প দিনেই তরতাজা ত্বক পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই কাজে লাগানো শুরু করতে পারেন শসাকে।
গরমের সময় দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে : প্রতিদিন গরম যাচ্ছে বেড়ে। এমন অবস্থায় দেহের তাপামাত্রা স্বাভাবিক রাখতে শাসা খাওয়াটা জরুরি। কারণ শসা দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ত্বক পুড়ে গেলেও শসা লাগাতে পারেন। কারণ পোড়া ভাব কমাতে শসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীর বিষমুক্ত হয় : শসার শরীরে উপস্থিত বিপুল পরিমাণ পানি দেহে প্রবেশ করে জমে থাকা টক্সিক উপাদনকে ধুয়ে মুছে বার করে দেয়। ফলে শরীরে বিষের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে কোনও ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন