কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রুনা খাতুন (৩৬) নামের এক গৃহবধূর গলায় সাইকেলের টিউব পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন – কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নফরকান্দী (ছন্দা ক্যানেলপাড়া) এলাকার জান আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ, একই গ্রামের বাগুজা পাড়ার শামসুল আক্তারের ছেলে মতিয়ার রহমান এবং একই উপজেলার মাঝিহাট মাঠপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গণি সর্দ্দারের ছেলে ছালিম সর্দার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি সালাউদ্দিন মন্ডল, চায়েন মালিথা ও মোমিন মিস্ত্রিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মাঝিহাট গ্রামের আব্দুর খালেক মালিথার স্ত্রী রুনা খাতুন ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরের দিন সকালে ওই গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন একটি আবাদি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব শত্রুতার জেরে রুনা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। গলায় সাইকেলের টিউব পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় রুনা খাতুনকে ।
এঘটনায় মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের নিহতের স্বামী আব্দুর খালেক। হত্যা মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোলাইমান আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার তিন আসামিকে শাস্তির আদেশ দেন এবং অপর তিন আসামিকে খালাস দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন