নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গেলে একটি বাজেটের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দূভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এই দুর্ঘটনা রোধে এখনোও জাতীয় কোন বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। তিনি বলেন, যদি জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা না হয় এবং দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনী পরিকল্পনা না নেয়া হয়, তাহলে এটি চলবে কিভাবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যারা গাড়ীতে যাত্রী হিসেবে গাড়ীরে ভেতরে থাকেন তারাও চালকে সতর্ক করে দেয়ার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ছয়টি বিষয় পয়েন্ট আউট করেছেন। এই ছয়টি পয়েন্ট বাস্তবায়িত হলে দেশে দুর্ঘটনার রোধ অনেকটা কমে আসবে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫ ঘটিকায় মৌলভীবাজার পিটিআই অডিটোরিয়ামে পিটিআই ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথাগুলো বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেছেন, আমাদের দেশে রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চলবে, কোন সরকার এখনো কোনো ধরণের পরিকল্পনা করেনি। আমাদের দেশে কোন কাজ পরিকল্পনা করে হয়না। সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতি বছর ৪০হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। সরকার জানে না জনগণের সেবার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। রাস্তায় কেমন গাড়ি চলতে পারবে।
তিনি আরোও বলেন, ১৯৯৩ সালে আমি আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা প্রত্যেকটা জিনিষের ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্যা তৈরী করি। দেশে ২৫ লক্ষ মোটর সাইকেল আছে। আমরা যাই উন্নয়ন করি তার কোন পরিকল্পনা নেই।
পৃথিবীতে যেকোন কাজ প্ল্যান করে না করলে কোন কাজ ফলপ্রসূ হয়না। আমাদের দেশে ঢাকার মগবাজারে ফ্লাইওভার তৈরী করল পরিকল্পনা ছাড়া। পরে আবার সেটি ভেঙ্গে ঠিক করল। আমাদের দেশে সরকারও হুজুগে। ঢাকা শহরে কত লাইট লাগানো আছে, তা লাগানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা মানুষ তৈরী করার কারিগর। আপনারা ছাত্রদের সচেতন করে তুলতে হবে। রাস্তায় চলতে হলে প্রত্যেকের দায়িত্ব কি তা জানাতে হবে।
পিটিআই ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে নিরাপদ সড়ক চাই সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম। খিজির মোহাম্মদ জুলফিকার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, মৌলভীবাজারে উপদেষ্টা এম এ রহিম সিআইপি, বিআরটিএ সহকারি পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, পিটিআই স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট এ কে এম সাইফুল হাসান, নিসচা কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক লিটন এরশাদ, অর্থ সম্পাদক নাসিম রুনি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহি কুটি, সদর সার্কেলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আহমদ কাজল, নিসচা কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ ও শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন নিসচা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন। প্রবন্ধে তিনি বলেন ২০১৭ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ২৩৩ জন শিক্ষক ও ৯০৩জন ছাত্র নিহত হয়েছিলেন।
তার বাস্তবায়ন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন