হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মাধবপুর-ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়ক। উপজেলা শহর সহ ৪টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষের সারাদেশে যোগাযোগের একমাত্র এটি হচ্ছে আঞ্চলিক সড়ক। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় একমাত্র ঐ রাস্তা দিয়েই যাত্রী সাধারণকে কষ্ট করেই আসা যাওয়া করতে হয়।
যান বাহনের চালক সহ সাধারণ লোকজন রাস্তাটি মেরামতের জন্য দাবি করলেও এটি করলেও স¤প্রতি বিনা টেন্ডারে ভ্রাম্যমান মেরামতের আওতায় রাস্তার কয়েকটি স্থানে কিছু ইট ফেলে দায়সাড়া হয়েছে। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ সড়কের প্রায় ৫০টি স্থানে বড় বড় ভাঙ্গন ও গর্ত রয়েছে। বছর খানেক আগে এ রাস্তা দিয়ে স্থানীয় একটি শিল্প কারখানায় বালু দিয়ে ভরাট করার সময় ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপরে চলতি বর্ষা মৌসুমে গর্ত তীব্র আকার ধারণ করে। চালকরা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে থ্রি-হুইলার সহ অটোচালিত সিএনজি নিষিদ্ধ হয়ে পড়ায় এ রাস্তা দিয়ে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক যা দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। স¤প্রতি রাস্তার কিছু স্থানে কিছু ইট দিয়ে মেরামত করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ কাজটি প্রকৌশলী বিভাগের লোকজন দায়সাড়া ভাবে শেষ করেছে। সব গর্তে ইট দেয়া হলে রাস্তা দিয়ে আপাতত চলাফেরা করা যেত।
ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিদিন যোগাযোগের প্রয়োজনে শতশত মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটি সরু এবং বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্ত ও ভেঙ্গে যাবার কারণে এখন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে মানুষের ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। রাস্তাটি আরো বড় করে মেরামত করা হলে মাধবপুর দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত। এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম জাকির হোসেন বলেন, সাময়িক ভোগান্তি এড়াতে ইট দিয়ে বিভিন্ন গর্ত ভরাট করা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে আরো গর্ত হয়েছে। রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ মেরামতের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ মেরামত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন