সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টানা খরার পর শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ায়পাট চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ৬:০৪ পিএম | আপডেট : ৬:২৬ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০১৮

পাবনায় গত দিন ধরে শ্রাবণে পাওয়া বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে চিকন হাসি দেখা দিয়েছে । পাট জাগ দেওয়া নিয়ে যে শঙ্কায় ছিলেন কৃষক তা দুর হয়েছে। বিভিন্ন বিল, জলাশয়ে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে পাট জাগ দেওয়ার অবস্থায় এসেছে। ইতোমধ্যেই পাট কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ২০দিনের মধ্যে সব পাট কাটা শেষ হবে। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার পাট মৌসুমে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় ৩৬ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করা হয়। এর মধ্যে তোষা পাট আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে । সবচেয়ে বেশী চাষ আবাদ হয়েছে জেলার সুজানগর উপজেলায়। এই উপজেলায় ৮ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে চাষ আবাদ করা হয়। সাঁথিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৪শত হেক্টর, পাবনা সদও উপজেলায় ৬ হাজার ৬ হেক্টার , আটঘরিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৯শত ৭০ হেক্টর ,চাটমোহর উপজেলায় ৬ হাজার ৮শত ৭৫ হেক্টর, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৩শত ৫৫ হেক্টর ,বেড়া উপজেলায় ২ হাজার ৬শত ২০ হেক্টর , ফরিদপুর উপজেলায় ৬০৫ হেক্টর এবং ঈশ্বরদী উপজেলায় ১শত ৯০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে।ঈশ্বরদী উপজেলায় সবচেয়ে কম পাট আবাদ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কৃষি দপ্তর সূত্র জানালেন, ঈশ্বরদীর কৃষক ফল এবং ধান চাষে বেশী আগ্রহী । এবার হেক্টর প্রতি লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে গড়ে ৯৬ হাজার মেট্রিক টন পাট পাওয়া যাবে।এটা বাম্পার ফলন। সরেজমিনে চর কোশাখালী ঘুরে দেখা দেখা যায় এখানে মাঠে এখনও পাট কাটা শুরু হয়নি। কৃষক মো: মতিয়ার মিয়া জানালেন, এখানে মাঠে নাবি পাট বোনায় দেরিতে কাটা শুরু হবে।ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রবল বর্ষণ হতে পারে বলে তারা আশা করছেন। এরপর ভাদ্র মাসে খরা পড়বে। পাট চাষীরা পাট জাগের পরে শুকানোর জন্য খরা চাইছেন।পাটের ন্যায্য মূল্য নিয়ে চাষীরা শঙ্কায় আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন