রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ‘মেসার্স দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংকের চেকবই, পাসপোর্টসহ জমির দলিল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গত বুধবার (৩ আগস্ট) ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দীর্ঘ সময় পর ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের বারান্দা থেকে ওই কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মের্সাস দাদাভাই এন্টারপ্রাইজ এর সত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গোয়ালন্দসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডিম, বিভিন্ন কোম্পানীর গ্যাস পাইকারী বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পিছনে তাদের নিজস্ব বাসা রয়েছে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাড়ি বোঝাই গ্যাস সিলিন্ডার নামানোর পর লোহার আলমারী, দোকানের শার্টার ও কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে বাসায় যান। প্রতিষ্ঠানটির সামনেই শামসু শেখ (৩৭) নামের এক ব্যাক্তি পাহারাদার হিসেবে ছিলেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের শাটার খোলা দেখে তাদেরকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দেখেন দোকানের কলাপসিবল গেটে লাগানো সবকটি তালা নেই। দুর্বৃত্তরা তালা কাটার পর শাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে লোহার লকারের তালা ভেঙে নগদ পৌনে দুই লাখ টাকা, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, পাসপোর্ট এবং বাড়ির কিছু জমির দলিল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিষ্ঠানের চারপাশে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) ভাঙচুর করে হার্ডডিস্ক নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানের বাইরের নিরাপত্তায় লাগানো বৈদ্যুতিক বাতিও ভেঙ্গে ফেলেছে। ঘরের ভিতর জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেছে। তাৎক্ষনিকভাবে গোয়ালন্দ বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে অবগত করেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির পাহারায় নিয়োজিত নৈশ প্রহরী শামসু শেখকে তারা কোথাও খুঁজে পাননি। তাদের বাড়িসহ সব জায়গায় খোঁজ করেন। নৈশ প্রহরীর এক জোড়া স্যান্ডেল এবং টর্চলাইট বাইরে পড়ে ছিল। পরে বুধবার দুপুরের দিকে নৈশ প্রহরীকে গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসিজদের বারান্দায় পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, নৈশ প্রহরীকে উদ্ধারের পর ঘটনার অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন