চাঁদপুর-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়ক জাতীয় সড়কে উন্নীত করতে রাস্তার দু’পাশ প্রশস্তসহ একাধিক ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। এতে করে বছরকাল ধরে সড়কে যানবাহন চলাচলে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়েছে বর্ষা মৌসুমের কারণে। গত এক সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে সড়কের পাশে পানি জমে আছে। বিষয়টি আমলে নিতে চাইছেন না সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ঈদুল আযহার আগে সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো সংস্কার না করলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে এসব অঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের ৫৮ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাশের ৩ ফিট প্রশস্তকরণসহ মাটি ভরাট ও কয়েকটি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণসহ উক্ত কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১শ’ ২৫ কোটি টাকা। সড়কটি বর্তমান ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থে উন্নীত করার কাজ চলছে। আর তা বাস্তবায়ন হলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ২০১৭ সালের শেষ দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের কাজ শুরু হলেও সড়কের দু’পাশে বড় বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ নানা জটিলতা উপেক্ষা করে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। তারপরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছেন আগামি ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন যানবাহনের অপেক্ষমান চিত্র লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সড়কের চাঁদপুর ওয়ারলেছ বাজার মোড় থেকে বাবুরহাট, হাজীগঞ্জ শহর থেকে বাকিলা বাজার পর্যন্ত দুই পাশের শত শত যানবাহন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। শহরের ওয়াপদা গেইট এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় সড়ক সংস্কার না করায় দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকে যানবাহন। ৫ মিনিটে অতিক্রম করা সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অপরদিকে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের একই অবস্থা।
গত শুক্রবার সকালে শহরের ওয়ারলেছ এলাকায় দেখা গেছে সড়কে পানি জমে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও পানিবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। জমে থাকা ময়লা পানি যাত্রীদের গায়ে গিয়ে পড়ছে। কোথায়ও কোথাও সড়কের পাশে বৃদ্ধি করা স্থান ভেঙে পড়ছে পাশে। আবার কোন কোন স্থানে পুরো রাস্তা নতুন করে করতে গিয়ে পানি জমে কর্দমাক্ত হচ্ছে। আর এসব বিষয় আমলে নিচ্ছেন না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে অতিবৃষ্টি ও বর্ষার পানির চাপে তাদের কাজের গতিতে ব্যাঘাত ঘটছে।
শহরের বাবুরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন ও আরিফ হোসেন জানান, ‘ধীর গতির পাশাপাশি এসব কাজে সড়ক জনপথ বিভাগের লোকদের তদারকি কম। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের ইচ্ছামত কাজ করছে। রাস্তার দুই পাশে সংস্কার কাজের জন্য কাটার কারণে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা পড়ছে পথচারী ও যানবাহন।’
চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বলেন, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের ৫৮ কিলোমিটার জুড়ে দুই পাশের ৩ ফুট করে রাস্তা বৃদ্ধিসহ ছোট বড় ব্রিজ কালভার্টের কাজ ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আর সড়ক উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যানবাহনসহ যাত্রী সাধারণের সাময়িক ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন