স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটসম্যানদের সাথে পাল্লা দিয়ে বল হাতে গতির ঝড়ও চলছে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের। আরেকটু পরিস্কার করে বললে গতি দিয়ে ইংল্যান্ডকে ধ্বসিয়ে দিচ্ছেন কাগিসো রাবাদা। এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ইংলিলদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ভালো অবস্থানে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ডানহাতি পেসারের তোপে চতুর্থ ও শেষ টেস্টে ১৩৩ রানের লিড পাওয়া স্বাগতিকরা এগিয়ে রয়েছে ১৭৫ রানে। গতকাল সুপারস্পোর্ট পার্কে বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪২ রান। বৃষ্টির জন্য ১২ ওভার কম খেলা হয়েছে। প্রথম ইনিংসে শতক করা দুই ব্যাটসম্যান স্টিভেন কুক ২৩ ও হাশিম আমলা ১৬ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরতেই আঘাত হানেন জেমস অ্যান্ডারসন। তার বলে জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডিন এলগার।
এর আগে ২ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দিনের প্রথম ঘণ্টার শেষ ওভারে আঘাত হানেন রাবাদা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে অতিথিদের ৩৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন ৭ উইকেট পাওয়া এই পেসার। অ্যালেস্টার কুককে (৭৬) ফিরিয়ে তার সঙ্গে জো রুটের ৯৯ রানের জুটি ভাঙেন রাবাদা। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি অতিথিরা। অধিনায়কের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি রুটও, তার ৭৬ রানের ইনিংস শেষ হয় রাবাদার বলে কুইন্টন ডি ককের গøাভসবন্দি হয়ে।
ওয়ানডে মেজাজে খেলা বেন স্টোকস পাল্টা আক্রমণে এলোমেলো করতে চেয়েছিলেন স্বাগতিকদের। খুব একটা সফল হননি ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। রাবাদার বলে আমলার তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। শেষের দিকে প্রতিরোধ গড়েন ইংল্যান্ডের আট নম্বর ব্যাটসম্যান মইন আলি। ১০১ বলে খেলা তার ৬১ রানের ইনিংসটি অতিথিদের সাড়ে তিনশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যায়। মইনকে ড্যান পিটের ক্যাচে পরিণত করে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দেন মর্নে মর্কেল। ১১২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার রাবাদা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টেস্টে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন