অবৈধ অভিবাসীদের বিদায় ঘোষণা করেছে আরব আমিরাত সরকার। এতে হাজার হাজার অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মধ্যে এসব শ্রমিককে দেশে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায় ধরা পড়লে শাস্তির পাশাপাশি শ্রমিকদের আশ্রয় দিয়ে যারা কাজ করাবেন তাদেরও কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে এসব শ্রমিক ভিজিট ভিসায় আমিরাতে এসে অবৈধ হয়ে যায়। এছাড়া কম বেতন এবং ঠিকমতো বেতনাদি না পেয়ে কর্মস্থল পরিবর্তন করে অবৈধ হয়ে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন সেসব শ্রমিকেরও ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাদেরকে দেশে ফিরে যেতে হবে। তবে এসব শ্রমিক ক্ষমার আওতায় ‘নোএন্ট্রি স্ট্যাম্প’ বা ‘ব্যান’ছাড়া দেশে চলে যেতে পারবেন। আবার কেউ চাইলে জেল-জরিমানা ছাড়া তাদের অবস্থান বৈধ করেও নিতে পারবেন। তবে আমিরাতের শ্রম আইন অনুযায়ী নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে যখন কোন শ্রমিক পালিয়ে যায় নিয়োগ কর্তা তখন লেবার মিনিস্ট্রিতে ঐ শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে থাকেন। ফলে নিয়োগ কর্তার কাছে পুনরায় গিয়ে বৈধ হওয়ার লক্ষ্যে ভিসা নবায়নে কতটুকু স্থান পাবেন তা নিয়েও চরম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন এসব শ্রমিক।
ভিজিট ভিসায় আসা ভুক্তভোগিরা ইনকিলাবকে জানান, দালালরা ভিজিট ভিসায় এনে বিজনেস পার্টনার ভিসা লাগিয়ে বৈধ করে দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এতে প্রতারণার শিকার হয়ে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে পালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সংসারে সচ্ছলতা আনতে সোনার হরিণ খুঁজতে আসা সহায়-সম্বল বিক্রি আর ধার-দেনা করে মোটা অংকের টাকা খরচ করে আমিরাতে আসা লোকগুলো এখন হতাশার সাগরে নিমজ্জিত। দেশে পাওনাদারদেও কে কী জবাব দেবেন তাও বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
এদিকে ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আমিরাত সরকার।
এ বিষয়ে গত রোববার দুবাইয়ের আল আবির ইমিগ্রেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জেনারেল ডাইরেক্টরি অফ রেসিডেন্সি ফর অ্যাফ্যায়ার্স দুবাইয়ের মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল মারি। তিনি বলেন আমিরাতে যারা অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন এই দেশ ত্যাগে সাধারণ ক্ষমা হচ্ছে তাদের জন্য আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ঊপহার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন