মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে। অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও-হু)। নতুন করে যেসব এলাকায় ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেগুলোর উগান্ডা ও রুয়ান্ডা সীমানার কাছাকাছি হওয়ায় কঙ্গোর বাইরেও হাজার হাজার কিলোমিটার এলাকায় ইবোলা বিস্তৃত হতে পারে জানিয়ে বৃহস্পতিবার ডবিøউএইচও-র কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সতর্ক হতে দেশগুলোকে পরামর্শও দিয়েছেন। উগান্ডা সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে নর্থ কিভু প্রদেশের অন্তর্গত ৬০ হাজার অধিবাসীর শহর মানগিনাতে নতুন করে চারজনের শরীরে ইবোলার উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শহরটির আশপাশে অজ্ঞাত রক্তক্ষরণে আরও ২০ জনের মৃত্যুরও খবর দিয়েছে তারা। জুলাইয়ের শেষেরদিকে এ প্রাণহানি হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণের কথা জানানোর সপ্তাহখানেক আগেই উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইবোলা মহামারি নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছিল মধ্য আফ্রিকার এ দেশটি। এপ্রিলের ওই দফা সংক্রমণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর জন্য ঝুঁকি অনেক বেশি বলেই আমাদের অনুমান। সীমানার কাছাকাছি হওয়ায় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে উগান্ডার জন্যও এটি তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি প্রতিক্রিয়া বিভাগের প্রধান পিটার সালামা। “আমরা হাজার হাজার কিলোমিটার এলাকার ঝুঁকি নিয়ে বলছি, যদিও এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যালোচনা,” বলেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে কঙ্গোর উত্তরাঞ্চলীয় ইবোলা নদীর কাছে এই ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এ নিয়ে দশম বারের মতো দেশটিতে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলো। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ধারণা করা হয়, বাদুড়ের মাধ্যমে দূরদূরান্তের এলাকায় ইবোলা ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন