প্রস্তাবিত নিরাপদ সড়ক আইন-২০১৮ শিক্ষার্থী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক কেউই গ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার আমাদের যথার্থ আশা প‚রণ করে নাই। তাই শিক্ষার্থী, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরাও এই আইন গ্রহণ করে নাই। এ সময় ক্ষমতাসীনরা ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছে। গতকাল (বুধবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রম‚লক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম এই যুব সমাবেশের আয়োজন করে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয় মন্তব্য করে নোমান বলেন, নিরাপদ সড়ক দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক হলে এবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ হয়ে যেত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজনৈতিক ছিল না। এটাকে আমরা রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে দেখতে চাইনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে নোমান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহায়ক সরকার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অথবা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন জনগণ এদেশে হতে দেবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। সুতরাং এই কমিশনের অধীনে নতুন কোনো নির্বাচন হবে না।
জাতীয় ঐক্যের জন্য সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভ‚মিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে দেশ মহাসংকটে। দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যদিও একটি সংবিধান আছে কিন্তু সংবিধানের কোনো প্রয়োগ নেই।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন