শেকলবন্দি পুত্র মো. রবিউল হোসেনকে (৩০) সকালে নিজ হাতে খাইয়ে দেন ফাতেমা বেগম। এরপর ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে প্রতিদিনের মতো ভিক্ষা করতে বের হন মা। দুপুরে অগ্নিকান্ডের খবরে বাসায় ফিরে দেখেন সবশেষ। ঘর আর সহায় সম্বলের সাথে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে ফাতেমার মানসিক প্রতিবন্ধি পুত্র রবিউল। পুত্রহারা ফাতেমার আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর চান্দগাঁও থানার উত্তর ফরিদারপাড়ার খন্দকার বাড়ির একটি কলোনিতে গতকাল রোববার সকালে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সকাল ১০টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট পৌনে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা পৌনে ১২টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই কলোনির তিন সারিতে থাকা টিন শেডের ৪২টি ঘর পুড়ে গেছে। একটি ঘর থেকে রবিউলের পুড়ে যাওয়া কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মত সকালেও রবিউলকে ঘরে শেকলে বেঁধে ভিক্ষা করতে যান তার মা। এর মধ্যে আগুন লাগলে কলোনির সবাই বেরিয়ে যায়, কিন্তু রবিউল বের হতে পারেনি। বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে জানানো হয় আগুনে ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকা। আগুনের গ্রাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকার মালামাল। তবে আগুন লাগার কোন কারণ জানা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন