শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাবের হস্তক্ষেপে ১২৫ হজযাত্রীর ভিসা লাভ

আরো দু’টি ফ্লাইট বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বিমানের ভ্রান্ত নীতি এবং অসাধু কর্মকর্তাদের তথ্য গোপনের দরুণ বিমানের আরো দু’টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে এবার বিমানের ১৮ টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হলো। আজ বিমানের (বিজি-১০৯১) ও (বিজি-৬০৯১) হজ ফ্লাইট দু’টি যাত্রীর অভাবে বাতিল করা হয়েছে। গতকাল সোমবার হাবের বলিষ্ঠ উদ্যোগে সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারী হজ এজেন্সি’র প্রতারণার শিকার ১২৫ জন হজযাত্রী’র ভিসা সরবরাহ করেছে। বিকেলে সউদী দূতাবাস থেকে হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম আশকোণাস্থ হাজী ক্যাম্পে এসব ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট নিয়ে পৌছলে হজযাত্রীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তারা হাবের মহাসচিবকে জড়িয়ে ধরে মন খুলে দোয়া করেন। সকালে এয়ার লাইফ ইন্টারন্যাশনালের (৬০৩) এসব হজযাত্রীর ভিসার জন্য হজ অফিসের পরিচালক হজ সাইফুল ইসলাম ডিও লেটার কিন্ত দূতাবাসে প্রেরণ করেন। কিন্ত দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এসব হজযাত্রীর ভিসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম এসব হজযাত্রী’র ভিসা ইস্যুতে ভূমিকা রাখার জন্য তাৎক্ষণিক গুলশানস্থ সউদী দূতাবাসে চলে যান। হাব মহাসচিব দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিশেষ অনুরোধে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এসব হজযাত্রীদের ভিসা দিতে সম্মত হন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হজ ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেন।
এয়ার লাইফ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন জানান, লীড এজেন্সি সিরাজগঞ্জের মুসাফির ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মর্জিনা খাতুন ১১৬জন হজযাত্রীকে এয়ার লাইফ ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে হজে পাঠাচ্ছেন। কিন্ত ২২ লাখ টাকা এয়ার লাইফ ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোতাওয়াক্কিল বিল্লাকে পরিশোধ না করেই মর্জিনা খাতুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম সউদী আরবে গা-ঢাকা দিয়েছে। ফলে যথা সময়ে আইবিএএন-এর মাধ্যমে সউদী আরবে হজে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। বিলম্বে হজে টাকা পাঠানোর পর মোফা আসে। এ নিয়ে বহু দেন দরবারের পর অপেক্ষমান ১২৫ জন হজযাত্রীকে আগামীকাল ১৫ আগষ্ট সউদী আরবে পাঠানোর জন্য বিমানের টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা চলছে। গতকাল গভার রাত পর্যন্ত ১ লাখ ১৭ হাজার হজযাত্রী সউদীতে পৌছেছেন। হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম আরো দু’টি হজ ফ্লাইট বাতিল প্রসঙ্গে বলেন, বিমানের ভ্রান্ত নীতি এবং সঠিক তথ্য গোপন করে হজ ফ্লাইটের সিটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির কারণেই হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে। হাব মহাসচিব বলেন, হজ ফ্লাইটের শেষের দু’তিন দিন সিটির খুবই চাহিদা থাকে। কিন্ত অর্ধ শত হজ এজেন্সি এক দেড় মাস আগে থেকেই ১৩ আগষ্ট ও ১৪ আগষ্ট হজ ফ্লাইটের সিট চেয়েও পায়নি। বিমানের কর্মকর্তারা এসব হজ টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে বলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। এর দায়-দায়িত্ব বিমানের দায়িত্বহীন কর্মকর্তাদেরই বহন করতে হবে। হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার বলেন, হজ ফ্লাইটের শেষের দিকে হজ ফ্লাইটের সিট নেই নেই বলে হজ এজেন্সি’র মালিকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাউদিয়ার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের কারণে তাদের কোনো হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়নি। তিনি বলেন, বিমানের অদক্ষ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার দরুনই হজ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন