ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে চারটি ইউনিয়ন থেকে ভিজিএফের জন্য বরাদ্দকৃত ৫২০ বস্তা ভিজিএফের চাল জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ভিজিএফের চাল জব্দ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে চলতি ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬৮ হাজার ৯৬৭ জন দুস্থের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুস্থদের জন্য বরাদ্দের চাল বিতরণে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন গুলোতে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওশুতি বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন অভিযান চালিয়ে দুটি দোকানের তালা ভেঙে ২৩ বস্তা ভিজিএফের চাল জব্দ করেন। গত সোমবার দুপুরে রাজিবপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ বাজারের দুটি দোকান থেকে ২৩৭ বস্তা চাল জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মইনউদ্দিন খন্দকার। ওই দিন বিকেলে তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের একটি ঘরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন অভিযান পরিচালনা করে ৩০ বস্তা চাল জব্দ করে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সোহাগী ইউনিয়নের সোহাগী বাজারে অভিযানে যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মইনউদ্দিন খন্দকার। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুল হকের দোকান থেকে প্রায় ১১৫ বস্তা, মোস্তাফিজুর রহমানের ফার্ণিচারের দোকান থেকে ৩৩ বস্তা, সরিষা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হেলিমের দোকান থেকে ৩২ বস্তা, সবুজ মিয়ার দোকান থেকে ৩০ বস্তা এবং কুবেদ মিয়ার চিরার মিল থেকে ২০ বস্তাসহ মোট ২৩০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। সোমবার ও মঙ্গলবার চারটি ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রশাসন ৫২০ বস্তা চাল জব্দ করে।
দুস্থদের চাল নিয়ে চালবাজির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াহেদ উদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে থানা হেফাজতে থাকা ওয়াহেদ উদ্দিনের দাবি, তিনি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নন।’ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিজিএফের জন্য বরাদ্দের চাল গুলো উদ্ধার করে সিলগালা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন বলেন, চালের সাথে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে সন্দেহে ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্য এলাকায় চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন