ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া হতদরিদ্রদের ভিজিএফ কর্মসুচির ১০২ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। শনিবার মধ্যরাতে দোগাছি ইউনিয়নের কলমনখালী বাজারে অভিযোন চালিয়ে মিঠু জোয়ারদারের বাড়ি, বিপুলের দোকান ও মাসুদ নামে তিনজনের কাছ থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইছাহাক আলী জোয়ারদার চাল উদ্ধার সম্পর্কে বলেন, ভিজিএফ চাল বিক্রির সাথে ইউনিয়ন পরিষদের কেও জড়িত নয়। ঈদ সামনে করে বাজার সদায় করার জন্য হতদরিদ্ররাই এই চাল বিক্রি করেছেন এবং স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীরা এগুলো কিনেছেন। তিনি বলেন আমরা তো চাল দিয়েছি কিন্তু অন্য ইউনিয়নে তো ২০ কেজির পরিবর্তে ৮/১০ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকাবাসির অভিযোগ হতদরিদ্রদের নামে ভুয়া স্লিপ তৈরী করে দোগাছি ইউনিয়নের এই চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে দোগাছি ইউনিয়নের কলমনখালী বাজারে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে সরকারী বস্তায় রাখা ৫ হাজার কেজি অর্থ্যাৎ ১২৭ মন ভিজিএফ কর্মসুচির চাল জব্দ করা হয়। চালগুলো সিলগালা করে রাখা আছে বলে তিনি জানান। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম রোববার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার সাথে চেয়ারম্যান জড়িত কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন ট্যাগ অফিসারকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে ঈদের পর নিয়মিত মামলা করা হবে। উল্লেখ্য ওজনে কম দিয়ে আবার হতদরিদ্রদের নামে ভুয়া স্লিপ বানিয়ে জেলা জুড়ে ভিজিএফ চাল বিক্রির হিড়িক পড়েছে। তবে এ বিষয়ে দৃশ্যত কোন আইনী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন