চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে অস্ত্র ও ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে আতিকুর রহমান নামের বোয়ালখালী থানার আরও এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ক্লোজ করা হয়েছে। আতিকুর রহমান সমরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলার বাদি।
বোয়ালখালী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে সমরকে গ্রেপ্তারের পর ক্রসফায়ারে দেয়ার চেষ্টা এবং অস্ত্র ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগসহ ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় চট্টগ্রামের ডিআইজি এবং এসপি বরাবরে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে এই আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে সমরকে হয়রানির অভিযোগে বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে সমর চৌধুরী চট্টগ্রামের ডিআইজি এবং এসপি বরাবরে ন্যায় বিচার ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল হোতা এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আবেদন করলে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে অভিযুক্ত এসআই আতিকুর রহমানকে গত শনিবার ও এর আগে এসআই আরিফুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে থানার ওসি এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তদন্তে এসআই ফারুক ও আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদেরকে আপাতত ক্লোজ করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। এরপর বিভাগীয় মামলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭মে বোয়ালখালী থানা পুলিশ সমরকে নগরীর লালদিঘি পাড় এলাকা থেকে আটক করে। তার গ্রামের বাড়ি থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ বোয়ালখালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় সমরকে। গ্রেপ্তারের পর থেকে সমরের পরিবার দাবি করে আসছিল, তাদের গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী যুবক সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার প্রতিবেশি স্বপন দাশের জায়গাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। স্বপন দাশকে আইনি পরামর্শ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সঞ্জয় দাশ পুলিশকে জায়গার ভাগ ও টাকায় ব্যবহার করে সমরকে দুটি মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন