মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্বীকারোক্তির সত্ত্বেও ও চার্জশীট থেকে বাদ মূলহোতা

শিকলবাহাতে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা মামলা

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৫ এএম

পটিয়ার শিকলবাহা থেকে আটক প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ১৫ হাজার পিচ ইয়াবার মূল হোতা মো. ইকবালকে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর কর্ণফুলী থানার টি.এস.আই. সিদ্দিকুর রহমান গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিকলবাহা গ্রামের বাইট্টা গোষ্ঠী কবরস্থান থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার পিচ ইয়াবার একটি বস্তাসহ শিকলবাহা দ্বীপ কালারমোড়ল এলাকার ছাবের আহমদের পুত্র ফারুক আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় আরো ছয় জনের নাম স্বীকার করে।
ফারুকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারী পুলিশ কক্সবাজার থেকে ঐ মামলার ২নং আসামী ফারুকের প্রতিবেশী মহসিনকে গ্রেফতার করে। মহসিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীকালে স্বীকারোক্তিতে জানান, মহসিনের এলাকার আবদুর রহমান প্র. সোনা মিয়ার পুত্র মো. ইকবাল থেকে মহসিন ১ গন্ডা জায়গা ক্রয় করে এ জায়গা ক্রয় বাবদ ইকবাল ১ লাখ টাকা মহসিনের নিকট পাওনা ছিল। অনেকবার টাকা পরিশোধের তাগাদা দেয়া সত্তে¡ও সে টাকা দিতে না পারায় গত ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইকবাল মহসিনকে ডেকে বলেন যে, আজকে রাতে ট্রলারে কিছু আমার মাল আসবে। ট্রলার থেকে মালগুলো নিয়ে আমি যেখানে বলি, সেখানে পৌঁছে দেবে। তোমার সাথে ফারুকও থাকবে।
এ কাজ করে দিলে ১ লাখ টাকা তোমাকে দিতে হবে না। ইকবালের কথা মত মহসিন ফারুককে নিয়ে ঐ দিন রাত ৮টায় শিকলবাহা হাজী সোনা মিয়ার ঘাটে গিয়ে ট্রলার থেকে ইয়াবার বস্তাটি বুঝে নেয়। এরপর ইয়াবার বস্তা ফারুকের হাতে দিয়ে বস্তাটি ফারুকের বাসায় রাখতে বলে। অতঃপর ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়াবার বস্তা পাচার কালে ফারুক পুলিশের হাতে আটক হয়। উক্ত ইয়াবা আটকের পর টি.এস.আই. সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় ফারুক, মহসিনসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলাটি প্রথমে থানার পুলিশ পরিদর্শক হাসান ইমাম ও আবুল কালাম তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ন্যস্ত হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালে ১৭ই অক্টোবর সিএমপি মহানগর গোয়েন্দ বিভাগের (উত্তর) পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ-উল ইসলাম ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। ২নং আসামীর স্বীকারোক্তি থাকা স্বত্তে¡ও উক্ত চার্জশীটে ইয়াবার মূলহোতা ও কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. ইকবালকে চার্জশীটে অন্তভর্‚ক্ত করেননি।
পক্ষান্তরে কিছু চুনুপুটিদের মামলায় জড়িয়ে মামলার চার্জশীট দেয়া হয়। রহস্যজনকভাবে বাদ পরে যায় উক্ত ইয়াবার মালিক ঘটনার রাঘব বোয়াল। আগামী ৫ ফেব্রæয়ারি আদালত উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য্য করেছে। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ-উল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে তিনি ডগেট দেখে জানাবেন বললেও পরবর্তীতে তাকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন