কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও চালকরা। তবে স্বাভাবিক রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল।
নাব্য সংকটের কারণে ওই রুটে শনিবার রাত ১১টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত একই অবস্থা রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটের উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে আট শতাধিক যানবাহন।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, নদীতে ড্রেজিং কাজ চলমান থাকায় এ নৌরুটে শনিবার রাত ১১টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিকল্প নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়াঘাট ব্যবহারের জন্য ঘাট কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিয়েছেন।
রোববার ভোরে পরীক্ষামূলকভাবে এক হাজারের কিছু বেশি যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কিশোরী নামের একটি ফেরি লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ডুবোচরে আটকা পড়ে।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে ডুবোচর থেকে ফেরিটিকে রক্ষা করা গেলেও ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এর পর মাঝ পদ্মায় ফেরিটিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফেরিটিকে উদ্ধারে টাগবোর্ড ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালিদ নিয়াজ জানান, রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সরু চ্যানেলে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সারা রাত ফেরি চলাচল না করায় ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সকাল থেকে ১২টি ফেরি চলাচল করছে ধারণক্ষমতার তুলনায় অর্ধেক গাড়ি নিয়ে। নাব্য সংকটের কারণে রো রো ফেরিগুলো বন্ধ আছে। ঘাট এলাকায় আট শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঘাটে এসে ফিরে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন