মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ বিএআরআই, বিআরআরআই, বিএসএমআরএইউ, কেজিএফ-এর ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প মডেলিং ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপেক্ট অন এগ্রিকালচার এন্ড ডেভেলপিং মিটিগেশন এন্ড এডাপটেশন স্ট্র্যাটেজিস ফর সাসটেইনিং এগ্রিকালচার প্রডাকশন ইন বাংলাদেশ, সিআরপি-২ এর ইনসেপশন কর্মশালা গতকাল বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় কৃষি বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীগণ অংশগ্রহণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আজ বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বেড়েছে আরও প্রকটভাবে। শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো করপোরেট সমাজের স্বার্থের কাছে পরাজিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণ প্রতিরোধ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে আছে এমন আভাস আমরা অনেক আগেই পেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে ভুগবে বাংলাদেশসহ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো। অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভোগান্তির শিকার হবে এসব অঞ্চলের দুই বিলিয়ন মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে খারাপ মৌসুমি আবহাওয়ার মধ্যে পড়বে। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এর প্রভাব দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর ‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল’ পটভূমিতে হিসাব করে দেখিয়েছে যে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা ৪.২ ডিগ্রি বাড়বে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে চাষাবাদের সময়কাল সঙ্কুচিত হতে পারে এবং উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন এদেশের কৃষিখাতে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল হলো ধান। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাবে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানচাষ। অসময়ে বন্যা, বৃষ্টি এবং প্রবল শিলাবৃষ্টির কারণেও ধানচাষ ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে চাষাবাদের সময়কাল কমে যেয়ে উৎপাদনশীলতাও কমে যেতে পারে। শীতকালের স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় রবিশস্যের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার শৈত্যপ্রবাহের ফলে সরিষা, মসুর, গম, আলু ও ছোলাসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কিছুই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহ্বুবর রহমান এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. কাজী এম. কামারুদ্দীন। প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্পের কোঅর্ডিনেটর এবং ব্রি এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. যতীশ চন্দ্র বিশ্বাস, সবশেষে কর্মশালায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বিএআরআই এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ভাগ্য রানী বণিক।
এছাড়া কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএআরআই ও বিআরআরআই এর বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীবৃন্দ, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন