শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভূমিহীনদের নতুন ঠিকানা খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প

নির্মাণ ব্যয় ৮০০ কোটি টাকা

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কক্সবাজার শহরতলীর খুরুশকুলে চলছে ৪০৯ ভ‚মিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশাল কর্মকান্ড। কুতুবদিয়া পাড়া-সমিতি পাড়া-নাজিরারটেক নামে পরিচিত কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা পরিবারগুলোকে সদর উপজেলার খুরুশকুলে ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু’ হিসেবে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। বিমানবন্দর স¤প্রসারণের কারণে এসব পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এখানে নির্মিত হচ্ছে পাঁচতলা বিশিষ্ট ১৩৭টি বহুতল ভবন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে দশতলা বিশিষ্ট একটি সুউচ্চ টাওয়ার। এতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান বলেন, ‘খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতব্য জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ করা হবে।’ পরিবারগুলোর মধ্যে অধিকাংশই মৎস্যজীবী হওয়ায় জীবিকা সংস্থানের জন্য আধুনিক শুটকি পল্লীও নির্মাণ করা হবে। স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিক নগরায়ন পরিকল্পনায় নির্মিত ওই শুটকি পল্লীটি কক্সবাজার জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকায় পরিণত হবে বলে জানান মাহিদুর রহমান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২৫৩ দশমিক ৩৫০ একর জমিতে এই বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কাজ অনেকখানি এগিয়েছে। কিছু ভবন নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। ভবনগুলো নির্মাণ করছে শসস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, প্রকল্পটিকে জেলা শহরের সাথে সংযোগের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরা ঘাটে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার সেতু নির্মাণেরও কাজ শুরু করেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারীর মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭২৯ টাকা ব্যয়ে জেটিঘাট হতে প্রকল্প অফিস পর্যন্ত এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজের অগ্রগতি বর্তমানে ২০ শতাংশ। এক কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৫ টাকা ব্যয়ে খুরুশকুলের কৃষ্টের দোকান থেকে সালেহ আহমেদ কোম্পানী পর্যন্ত এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে এই রাস্তার ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
নদী ভাঙন থেকে প্রকল্প এলাকা রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি বাঁধ নির্মাণ করছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৯৭২ লাখ টাকার বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে পাম্প হাউস ও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য ২৫৩ দশমিক ৩৫ একর জমির ডিজিটাল জরিপ এবং ৪৪ দশমিক ৮৮ একর জমির উন্নয়ন ইতোমধ্যেই শেষ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২০৮ দশমিক ৪৭ একর জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নৌবাহিনীর মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মাটি ভরাটের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ আনসার ২ মার্চ, ২০১৯, ১:২৯ পিএম says : 0
আমি একজন কক্সবাজার বাজারের সমিতিপাড়ার স্থানীয় অধিবাসী, মাননীয় মহোদয় আমি জানতে চেয়েছিলাম কক্সবাজারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ গুলো কখন শেষ হবে এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের কিভাবে বুঝিয়ে দিবেন?আর এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে। আশাকরি উত্তরটা দিলে খুশি হবো।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন