শুধু পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেই হবে না। রাষ্ট্র কী করছে, না করছে তা নিয়ে প্রতিদিন নজরদারি করতে হবে। তাহলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আইনের মধ্য দিয়েই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু এটা যেন না হয় সে জন্য সচেতন হতে হবে। বল প্রয়োগ না করেও আইন প্রয়োগ করা যায়। স¤প্রতি বাংলাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তা প্রমাণ করেছে। তাই তাদের এই আন্দোলনকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করা উচিত নয়। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তারুণ্যের এ শক্তিও কাজে লাগতে পারে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার সকালে নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিব্যাল অ্যান্ড ফোরাম অন হিউম্যান রাইটস জেনেভা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র এর আয়োজন করে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজার পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আ.ন.ম ওয়াহিদ, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, সুইস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ক্রিস্টোফর ফিউকস ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
সভায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের মূল বিষয়বস্তু ও পটভূমি উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিসের উদ্ধর্তন মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হেইকে আলেপসন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের উদ্ধর্তন কর্মসূচী কর্মকর্তা লুবনা ইয়াসমিন। সভা শেষে মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সনিতা’ প্রদর্শন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন