আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া থেকে ‘গ্রিন-টি’র নামে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল জব্দকৃত ১৬০০ কেজি নতুন মাদক নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) বা খাত।
১১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অর্গানাইজড ক্রাইম শাখার উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আলম।
রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে চতুর্থ দফায় এই ১৬০০ কেজি এনপিএস বা খাত জব্দ করা হয়। ৪২টি কার্টনে আনা হয়েছিল এই মাদক। তবে কার্টনের গায়ে ও চালানে গ্রিন-টি উল্লেখ করা ছিল। বিমানবন্দরের বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, মাদকের চালানটি বাংলাদেশে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছিল। তবে কোন ব্যক্তি এই মাদকটি দেশে আনার জন্য সহায়তা করেছে, তার নাম ও ঠিকানা জানতে পারেনি সিআইডি।
ডিআইজি আরও জানান, কার্টনের গায়ে যে ঠিকানা ব্যবহৃত হয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি কার্টনে থাকা একটি মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এনপিএস বহনকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবেই একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে পেরেছি। তবে তারা আসল প্রতিষ্ঠান কিনা, তাও যাচাই করা হচ্ছে। এর সাথে যারাই জড়িত থাকবেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।’
‘মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন কৌশলে দেশে মাদক আনছে। তারই অংশ হিসেবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি গ্রিন-টি নামে এই মাদকের চালান নিয়ে আসে। জব্দকৃত এই মাদকের বাজারমূল্য দুই কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম (হোমিসাইডাল এবং সিরিয়াস) শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহান, মিডিয়া শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন জাহান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন