ডলি (২২) স্কুল শিক্ষিকা জেসমিন আরা সাবিনার বাড়ির কাজের মেয়ে। সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বুঝে-শুনে কাজ করতে পারেনা। কাজে ভুল করলেই তাকে ২/৪ দিন পরপরই মারধর করেন স্কুল শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার সকালে কাজে ভুল হলে বেদম মারপিট করেন স্কুল শিক্ষিকা। কাজের মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সদরের মোস্তাইন বিল্লাহর বাড়িতে। ওই শিক্ষকা মোস্তাইন বিল্লাহর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি টুঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু কল্যাণ শাখার সহকারী শিক্ষক। তার স্বামী শেখ নূর আলম ব্র্যাক মুকসুদপুর শাখার ম্যানেজার।
নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার ডলি বলেন, আমার বাড়ি পাবনা জেলার আটঘড়িয়ায়। আমার পিতার নাম রইচ পরামানিক। জেসমিন আরা সাবিনার বাবার বাড়ি আমাদের গ্রামে। সে সূত্র ধরে ৬ মাস আগে সে আমাকে টুঙ্গিপাড়া তার ভাড়াকরা বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে নিয়ে আসে। আমাকে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার পরও আমি ঠিক মতো করতে পারতাম না। কাজে ভুল হলেই আমাকে সাবিনা আপা মারপিট করতো। বৃহস্পতিবার আমাকে বেদম মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বাড়ির মালিকের ঘরে রেখে যায়।
বাড়ির মালিক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, মেয়েটি আমার হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি কাজের মেয়ের পরিবারকে জানিয়েছি। কাজের মেয়ের বাড়ির লোকজন আটঘড়িয়া থেকে রওনা দিয়েছে। তারা টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছলে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা জেসমিন আরা সাবিনা কাজের মেয়েকে মারপিটের কথা স্বীকার করে বলেছেন, মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। পরিবারের লোকজন তাকে শাসন করতে বলেছিলো। কাজ বুঝিয়ে দেয়ার পরও ভুল করতো। ভুল করলেই তাকে শাসন করতাম। বৃহস্পতিবার মারপিটের পরিমান একটু বেশি হয়েছে। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাকিব হাসান তরফদার বলেন, টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান আমাকে বিয়টি জানিয়েছেন। মেয়েটিকে হস্তান্তরের সময় আমাকে অবহিত করলে অবশ্যই উপস্থিত থাকবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন