তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দেশের মুদ্রা সঙ্কটের জন্য অর্থনৈতিক আক্রমণকে দায়ী করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির কার্যালয়ে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, তুরস্কের অর্থনীতিকে লক্ষ্য করে ঘৃণ্য এক হামলা চালানো হয়েছে। এরদোগান বলেন, একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিক নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়ার পর এই আক্রমণ চালানো হয়।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুরস্কের মুদ্রা লিরা সাতগুণ বেশি দামি হয়ে উঠলে গত মাসে হঠাৎ করে এর মূল্য পড়ে যায় বলে দাবি করেন এরদোগান। তিনি এই ঘটনাকে অর্থনৈতিক গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা বলে বর্ণনা করেন।
এরদোগানের এই বক্তব্যের আগে গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। এছাড়া সরকার দেশের প্রপার্টি মার্কেটে বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এসব পদক্ষেপের কারণে লিরার দর খানিকটা স্থিতিশীল হয়েছে।
গতকাল শুক্রবারের বক্তব্যে এরদোগান বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়োনোর স্বাধীনতার ফলাফল দেখতে পাবে তুরস্ক। তিনি তুরস্কের নাগরিকদের তাদের সঞ্চিত অর্থ লিরায় রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে দেশীয় মুদ্রায় আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
চলতি বছর লিরার দর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এই নিয়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধের কারণেও চাপের মুখে পড়ে তুরস্কের অর্থনীতি। তুরস্কে আটক ধর্মযাজক ব্রানসনের মুক্তি নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন