নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি’র কথা স্বীকার করলো ফতুল্লা থানা পুলিশ। তবে ভিন্ন নাটক সাজিয়ে পুলিশ বিদেশী অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার দেখিয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে সে ছিল নিখোঁজ। পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা রনিকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে আসছিল। তবে রোববার রাতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদপত্র কর্মীদের বলেন, আপনারা ঢাকায় নয় নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঢাকার ডিবি কিংবা পুলিশ রনিকে গ্রেফতার করেনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রনিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময়ে রনির কাছ থেকে একটি বিদেশী তৈরি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছে তার স্বজনেরা। তারা বলেন, অপরাধী হলে আদালতে সোপর্দ করুন না হয় আমাদের সন্তান আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন।
এদিকে রবিবার রনির ভাই মহিবুর রহমান রানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন আসে রনির নাম্বার থেকে। ডিবির পরিচয়দানকারী অপরপক্ষ থেকে রনিকে ক্ষতি করবে না বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা দাবী করা হয়। ৩ লাখ টাকা দিলে রনিকে তারা ছেড়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের সময়ও রানার মোবাইল থেকে আবারও ফোন আসলে এবার কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এসময়ও টাকা দাবী করা হয়। এই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সংবাদ কর্মীদের হাতে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন