স্পোর্টস ডেস্ক : আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ফুটবলের শহর ব্রাজিলে বসতে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের সবচাইতে বড় মহাযজ্ঞ অলিম্পিকের এবারের আসর। প্রথা মেনে রিও অলিম্পিকসের জন্য এরই মধ্যে দক্ষিণ গ্রিসে প্রজ্বলন করা হয়েছে অলিম্পিক মশাল। দু’দিন আগে প্রজ্বলিত হওয়া এই মশাল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিইরোতে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছবে। অলিম্পিক গেমসের প্রধান উদ্যোক্তা কার্লস নুজমান এই অলিম্পিকের মধ্যে দিয়ে ইতিহাস গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত ব্রাজিলকে একতাবদ্ধ করবে রিও-র অলিম্পিকস।
এই অলিম্পিক মশাল প্রজ্বলনের প্রথা চালু হয়েছিল ৮০ বছর আগে বার্লিন গেমসের সময়। প্রাচীন অলিম্পিয়ায় যেখানে ১০০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে, সেখানকার প্রাচীন পদ্ধতি অনুসারেই এই মশাল প্রজ্বলন ও তার বিশ্ব পরিক্রমার রীতি শুরু হয়েছিল। মশালটি জ্বালান তারকা ক্যাটেরিনা লিহু, যিনি প্রাচীন প্রথা অনুসারে প্রধান উপাসকের ভূমিকা পালন করেন দেবতা অ্যাপোলোর প্রতি প্রার্থনা নিবেদনের অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। অ্যাপোলো ছিলেন আলো ও সঙ্গীতের প্রাচীন গ্রিক দেবতা।
পা পর্যন্ত লম্বা ঝুলের পোশাক পরে ক্যাটেরিনা মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসেন এবং আয়নার মধ্যে দিয়ে সূর্যরশ্মির বিচ্ছুরণকে ধরে মশালটি জ্বালাতে তিনি সময় নেন মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এরপর তিনি মশালটি তুলে দেন গ্রিসের বিশ্ব জিমনাস্টিক চ্যাম্পিয়ান এলেফথেরিও পেত্রুনিয়াসের হাতে। তিনিই প্রথম এই মশালটি বহন করবেন। এরপর এই মশালের শিখা প্রদক্ষিণ করবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং ব্রাজিলে পৌঁছবে ৩ মে। ব্রাজিলের শতশত শহর ও গ্রাম ঘুরে এই মশাল ৫ই অগাস্ট পৌঁছবে রিও-র মারাকানা স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন দেশে এই মশাল বহন করবেন সর্বমোট ১২ হাজার মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন