শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

লেজের আঘাতেই চুর্ণ পাকিস্তান!

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : দলে নেই সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন খেলোয়াড়। স্কোর বোর্ডে ১০০ রান জমা হওয়ার আগেই নেই ৬টি উইকেট! একবার ভাবুনতো এরপর দলীয় সংগ্রহ কত হতে পারে? ‘লেজ’ দিয়েই নিউজিল্যান্ড সেটাকে বানালো ৮ উইকেটে ২৮০! শুধু তাই না, পাকিস্তানের কাছ থেকে ম্যাচটিও ৭০ রানে। ৮২ রানের অনাবদ্য এক ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই নায়ক বনে গেলেন হেনরি নিকোলস। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টি-টোয়েন্টির পর এবার এই ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের ওয়ানডে দলে ফিরলেন মোহাম্মাদ আমির।
নায়ক নিকোলস হলেও ম্যাচের ভাগ্যে পরিবর্তন আসে মুলত ৮, ৯ ও ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা বøাক ক্যাপদের তিনটি ত্রিশোর্ধো ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে যা রেকর্ড। আর তাদেরকে সাহস জুগিয়েছেন হেনরি নিকোলস। ৭ম উইকেট জুটিতে সান্তনার ও নিকলস যোগ করেন ৭৯ রান। ৯ম উইকেট জুটিতে ম্যাট হেনরি ও ম্যাকক্লেঘান ৭৩ রান যোগ করেন মাত্র ৩৩ বলে! ১৮ বলে ৩১ রান করে চোট নিয়ে অবসরে যান ম্যাকক্লেঘান। হেনরি ও সান্তনার দুজনেই করেন ৪৮ রান করে। তবে হেনরির ইনিংসটা ছিল বেশিই বিধ্বংসী, ৩০ বলের মোকাবেলায় ছিল সমান ৪টি করে চার ও ছক্কার মার। প্রথত ৬ উইকেটে ৯৯ রান যোগ করা নিউজিল্যান্ড শেষ ৩ উইকেটে যোগ করে ১৮১!
অথচ আমীর-আনোয়ার-ইরফানরা কি দুর্দান্তভাবেই না শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ওপর পরে আর সেই চাপ বজায় রাখতে পারেনি তারা। ২৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আমির। আনোয়ার ৩ উইকেট নেন ৬৬ রানের খরচায়। ইরফান ২ উইকেট নেন ৪৩ রানের বিনিময়ে। ব্যাট হাতেও শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিন্তান। একসময় ৪ উইকেটে ছিল ১৬৮ রান। এরপর দুই রান যোগ করতেই হারিয়ে বসে আরো দুই উইকেট। সরফরাজ ও আনোয়ারের ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি সেটা কাটিয়ে ওঠার আভাসও দিয়েছিল। কিন্তু টেন্ট বোল্টের করা দলীয় ৪৪ ও ৪৬তম ওভারেই বাকি ৪ উইকেট খূঁইয়ে বসে সফরকারীরা। ৬ উইকেটে ২০৫ থেকে ২১০ রানে অল-আউট! ম্যাচের সেরা বোলার ওই বোল্টই, ৩ টি উইকেট নেন গ্রান্ট ইরিওট। পাক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে বাবর আজমের ব্যাট থেকে, মোহাম্মাদ হাফিজ করেন ৪২ রান। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন