মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সালমা বেগমসহ ৩ জনকে শনিবার রাত ১০টার দিকে সরকারি ৪৮০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আটক করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরকার সারাদেশে ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে গ্রামের গরীব মানুষের কাছে চাল বিক্রি করছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে যারা এ চাল ক্রয় করতে পারবে তাদের একটি তালিকাও রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, মেম্বার ও ডিলাররা সম্মিলিতভাবে তালিকা অনুযায়ী চাল বিক্রি করে থাকে। শনিবার রাতে সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড নং (১,২,৩) মহিলা সদস্য সালমা বেগমের নিজ বসত ঘর, প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও নাসির হাওলাদারের ঘর থেকে থেকে সরকারি ঐ ৪শ’ ৮০ কেজি চাল জব্দ করে কালকিনি থানা পুলিশ। চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ প্রতিবেশী নাসির হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের স্ত্রী শারমিন বেগমকে আটক করে পুলিশ। বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর হাওলাদার এসময় বাড়ীতে ছিলেন না।
ইউপি সদস্য সালমা বেগম বলেন, আমি ৮টি কার্ডের চাল কাউকে না দিয়ে চিকিৎসার জন্য রাখি এবং নাসির ও শারমিন বেগম এর নিকট বিক্রি করি।
সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান সেলিম বলেন, গরীব মানুষের চাল একজন ইউপি সদস্যের বাড়িতে পাওয়া যাবে এটা মোটেও ঠিক নয়। এতে করে আমার ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যে শাস্তি হবে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। অন্যায় করলে তাকে তো শাস্তি পেতেই হবে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্দু বালা বলেন, ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে সরকারি চালসহ আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে আটককৃতদের কোর্টে চালান করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন