শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এবার মিরপুরে সেনাবাহিনীর মহড়া

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বেজে গেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ঘণ্টা। শেষ সময়ে মিরপুর এখন ব্যস্ত সেজে উঠতে। রঙের কাজ শেষ। শেষ গ্যালারির ভাঙাচোরা চেয়ার সরিয়ে নেওয়ার কাজও। বসানো হয়েছে নতুন চেয়ার। মিরপুরে খেলোয়াড়দের উপস্থিতি না থাকলেও ব্যাটে-বলে শাণ দেওয়ার কাজ হচ্ছে অন্য ভেন্যুগুলোয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট খেলতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছে সব দল। এ মুহূর্তে ১২ দল আছে ঢাকায়, বাকি ৪টি চট্টগ্রামে। গতকাল বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। সাভারের বিকেএসপিতে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারতও। তবে ক্রিকেটারদের পদচারনা না থকলেও ঠিকই সরগরম ছিলো মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সোমবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সোয়াত ইউনিটের পর এবার প্রথমবারেরমত নিরাপত্তা মহড়া দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও। একাডেমি মাঠে এদিন মহড়ায় অংশ নেন প্রায় তিন’শ সেনাসদস্য। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতার ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনী কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে তারই প্রস্তুতি দেখানো হয় এই মহড়ায়। এ সময় সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আইসিসির নিরাপত্তা পরিদর্শক শন নরিস ও বিসিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তবেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিবর রহমান, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের ডাকা হলেই প্রস্তুত থাকা টিম ঘটনাস্থলে চলে আসবে। এ জন্য সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’ বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা কোনো সময়ই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম না, এবারো নই। যেহেতু আইসিসি একটি সিকিউরিটি প্ল্যান চেয়েছিল। আর সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিকিউরিটির নিশ্চয়তা দিয়েছিল, সে মোতাবেক আমরা কাজ করছি। আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি অতীতে যেমন বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ হয়েছে এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। ’
সেনাবাহিনীর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিকস (সোয়াত) ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তা মহড়া দিয়েছিল। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সোয়াত ইউনিটের সদস্যরা যুক্ত থাকবেন। আগামীকাল থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দেশের আটটি ভেন্যুতে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন