রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বরে রাজশাহী অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটেছে। পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারণে হত্যা আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফল সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস)।
লফসের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ, নওহাটার শ্রীরামপুর গ্রামে পূর্ব শত্রু তার জের ধরে শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ, পুঠিয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১০) ছাত্রীর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, চারঘাটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন, বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন, পদ্মা থেকে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, নগরীতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বেবি বেগমকে এলাকাবাসীর উদ্ধার, গোদাগাড়ীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, মোহনপুর উপজেলায় গৃহবধূ শিল্পী বেগমের বিষপানে আত্মহত্যা। এছাড়া বাগমারা উপজেলায় সন্তানদের সামনে গৃহবধূ মাহমুদা পারভিনকে নির্যাতনের অভিযোগ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতন, বাঘা উপজেলার ছাতারী গ্রামের ইলমা খাতুন নামের গৃহবধু শরীরে আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ, গোদাগাড়ী উপজেলায় ২নং মোহনপুর ইউনিয়নের নলিগ্রাম ডাওরিয়াপাড়া গ্রামে তুরজাউন বেগম নামের এক অন্ত:সন্তা নারীর আত্মহত্যা, আরএমপি কনষ্টেবলের স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাগুলো সকলের উদ্বেগজনক। লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয়না বা কোন তথ্য জানা যায়না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন