আমড়াতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ’সি’,ক্যালসিয়াম,ফাইবার রয়েছে। আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল। আমড়ায় প্রায় ৯০শতাংশই পানি, ৪-৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালশিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান বিদ্যমান। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে নানা রোগ থেকে মুক্ত রাখে। জেনে নেওয়া যাক আমড়ার কার্যকারিতা সম্পর্কে-
চর্বি বা কোলেস্টেরল কমিয়ে, হৃৎপিন্ডে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আমড়া। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে খাবার টেবিলে অনায়াসে স্থান পাবে আমড়া। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম তাই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে। আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি এবং আঁশ যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে তোলে। আর আঁশজাতহীয় খাবার পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
আমড়া খাবারের অরুচি দূর করে। শারীরের অতিরিক্ত উত্তাপ দূর করতে আমড়া অনেক কাজে লাগে। নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক অনেক সুন্দর থাকে। আমড়া পিত্ত ও কফ নিবারণ করে থাকে, কন্ঠস্বর পরিস্কার করে। এ ছাড়া, রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি-কাশি উপশমের ক্ষেত্রেও এটি বেশ উপকারী ফল। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা পাকা আমড়া পরিহার করুন। কারণ পাকা আমড়ায় সুগারের পরিমাণ কাঁচার তুলনায় বেশি থাকে। আমড়ায় প্রচর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যানসার এবং কিছু মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে যথেষ্ট সহায়ক।
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন