কুমিল্লার গ্রামীণ জনপদ সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। টিক্কাচর গোমতী নদীর বাঁধের উপর নির্মিত ব্রিজটিতে রাতে সৌর-বিদ্যুতের বাতিগুলো আলোকিত করছে পুরো সড়ক। অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামীণ জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে সৌরবিদ্যুতের আলো।
একটা সময় ছিল মেঠোপথ মানেই অন্ধকারাচ্ছন্ন। পথ চলতে গা শিউরে উঠত। পাড়া-মহল্লা ছিল ভুতুড়ে। গ্রামের সে চিত্র এখন পাল্টাতে শুরু করেছে। গ্রামের মেঠোপথ, গোরস্থান, মসজিদ রাতে সৌরবিদ্যুতে আলোকিত হয়ে উঠেছে। কুমিল্লার গ্রামের অলি গলিতেও এখন দ্যুতি ছড়াচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ। সুফলভোগীরা বলেন, সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করায় সাধারণ মানুষের জীবনমানে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের বিকল্প শক্তি হিসেবে বর্তমান সরকার মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করায় বিদ্যুতের উপর চাপ ও লোডশেডিং কমেছে। পথচারী নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। মাদকসেবী ও চোরাকারবারীদের আনাগোনা কমেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ছুটে আসছে টিক্কাচর ও বানাসোয়া ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগে। কেউ আড্ডায়, কেউবা ছবি তুলে উপভোগ করতে আসে।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সৌর বিদ্যুতের এ সড়কবাতি বসানো হয়। শহর থেকে বিচ্ছিন্ন এ মানুষগুলোর কাছে রাতে বিদ্যুতের আলো ছিল স্বপ্নের মতো। গোমতী বাঁধ এলাকার বাসিন্দারা জানান, টিক্কাচর ব্রিজ থেকে কাপ্তান বাজার পর্যন্ত রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকলে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হতো। এ ছাড়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটত। কাপ্তান বাজার এলাকার অটোভ্যান চালক জানান, গোমতীর বাঁধের উপর নির্মিত ব্রিজে সোলার প্যানেল বসানোর কারণে এখন ছিনতাই ও ডাকাতির পরিমাণ কমে গেছে। এখন আমরা নিরাপদে অটোভ্যান চালাই।
জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে গ্রামগঞ্জে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তার অংশ হিসেবে প্রকল্পটির যাত্রা কুমিল্লাতেও শুরু হয়েছে। এ সৌর বিদ্যুতের কারণে একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ অন্ধকার থেকে আলোকিত রাস্তায় রাতে চলাচল করতে পারছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন