রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। ওই মামলার অন্যতম এই আইনজীবী বলেন, ২০০৭ সালের চার্জশিটে তারেক রহমানসহ পরবর্তি পর্যায়ে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কারো নাম ছিল না। কিন্তু পুনঃতদন্তের নামে ফরমায়েশি চার্জশিটে বিএনপি নেতাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এড. খন্দকার মাহবুব বলেন, ২১ আগস্ট হামলা- মামলায় ৬১ জনের জেরা করা হয়েছে তাদের একজনও তারেক রহমান বা বিএনপির কোন নেতার নাম বলেনি। হঠাৎ করে অহি নাজিল হলো মামলাটি পুনঃতদন্তে যাবে এবং লোক ঠিক করা হলো বিতর্কিত তদন্ত কর্মকর্তা। যিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা চেয়ে নিজ এলাকায় পোস্টার টানিয়েছিলেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসে মুফতি হান্নান যে স্বীকারোক্তি দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে চার বছর পরে আবার তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হলো।
ওই মামলার এই আইনজীবী বলেন, মুফতি হান্নানের প্রথম জবানবন্দিতে তারেক রহমানসহ বিএনপির কোন নেতার নাম ছিল না। পরবর্তিতে তারেক রহমানসহ বিএনপির চারজন নেতার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। উনি আদালতে লিখিতভাবে তার সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেছেন এবং হাত দেখিয়ে বলেন, আমার হাতের নকগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। এটা আমার স্বীকারোক্তি না, জোর করে আমার কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। এই মামলায় ২২৫জন সাক্ষি সাক্ষি দিয়েছে কিন্তু একজনও বলেনি যে, তারেক রহমানসহ বিএনপির কোন নেতা জড়িত।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ি, কোন আসামি স্বীকারোক্তি দিলে শুধু তার বেলায় সেটি প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ, ভারত, ভারতীয় উপমহাদেশ কিংবা পৃথিবীর কোন দেশে এমন কোন আইন নাই যে, যদি কোন সাক্ষি কারো নাম না বলে তাহলে একজন আসামির স্বীকারোক্তি দিয়ে অন্য একজনকে আসামি করে সাজা দেয়া যায়। এছাড়া কোন আসামিকে তার অভিযোগের বিষয়ে আদালতে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়। কিন্তু মুফতি হান্নাকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। হঠাৎ করে তাড়াহুড়া করে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। যেটা অত্যন্ত রহস্যজনক।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. শাহিদা রফিক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন