খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, বেগম জিয়া এখন জাউ ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন। গত এক সপ্তাহ যাবত খুবই অসুস্থ ঠিকমত খাবার খেতে পাচ্ছেন না। তার মুখে ঘাঁ হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী । এই রমজানে জেলে তার অবস্থা বিপদজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে কচুঁয়া উপজেলা ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহ মোঃ বোরহানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সুমনের পরিচালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর এমেরিটাস ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাতীয় স্বরণ মঞ্চ আহবায়ক প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক, ডিইউজে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় জনতা-ফোরামের আহবায়ক ও ডিইউজে সদস্য- মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার প্রমূখ।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমান সৈনিক হিসেবেই তিনি এ জাতির জীবনে সবচেয়ে সংকটাপূর্ণ সময়ে আবির্ভূত হন। সৈনিক হিসেবেই তিনি সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরিশেষে একটি ঘাতক গোষ্ঠির হাতে সৈনিক হিসেবেই শাহাদাত বরণ করেন। সারা জীবন তিনি সৈনিক রইলেন এবং কাটালেন যুদ্ধক্ষেত্রেই। তার জীবনে রণাঙ্গন বদলেছে। রণকৌশল পাল্টেছে। পাল্টেছে যোদ্ধাস্ত্রও। পাল্টায়নি শুধু তার সৈনিক জীবন। জাতীয় অগ্রগতি অর্জনের জন্য প্রতি পদে পদে সৈনিকদের লড়তে হয়। লড়তে হয় কায়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ অর্থেও জিয়াউর রহমান একজন সৈনিক এবং বলতে কোনো বাধাবিভক্তি নেই। তিনি ছিলেন এক সকল সৈনিক ও' শ্রেষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধাদের একজন তিনি। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জিয়াউর রহমান হচ্ছেন প্রধান সেনাপতি তিনি।
সভায় বরকত উল্লাহ বুলু প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন- আপনি অন্যায়ভাবে গণতন্ত্রের মা কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জেলে বন্দি করে রেখেছেন। খালেদা জিয়াকে বন্ধি করে মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে চূড়ান্ত ভাবে সমাহিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন