শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রাজপথে আসুন এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য হবে- খন্দকার মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:৫৪ পিএম

বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর একটি নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারলাম না এই অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে। এটা আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের দুর্ভাগ্য। তাই বলছি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আসুন এই অবৈধ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে আইনজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মাহবুব বলেন, এ সরকার দুর্নীতি, লুট, গুমসহ কোনও কুকর্মই বাদ দেয় নাই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধী দল থেকে যে ধরনের নেতৃত্ব আসার কথা ছিল, তা আসে নাই। আমরা সে কারণে ক্ষুব্ধ। একটি অবৈধ সরকার দেশের ওপর অত্যাচার, অনাচার, অবিচার করে যাচ্ছে। আমরা প্রেস ক্লাবে বক্তব্য দেয়া ছাড়া জনগণকে নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে পারিনি। আমি আজকে ওয়াদা করে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। এ অবৈধ সরকারের কোনও বৈধতা নাই। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। সাংবিধানিকভাবে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। আজকে এ সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের বুকে একটি বৈধ সরকার গঠন করতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে আমরা জনগণকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করবো এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত।
বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে এমন দাবি করে খন্দকার মাহবুব বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য নীতিমালা করে বলা হলো - শৃঙ্খলাবিধিসহ সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়কে দেয়া হলো। সুপ্রিম কোর্টকে ‘সাক্ষী গোপাল’ (নিষ্ক্রিয় দর্শক) বানানো হলো। সেই কারণে আজকে নিম্ন আদালতে টেলিফোনের ওপরে বিচার হয়, জামিন হয়। এই অবস্থা চলতে পারে না।

প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে এমন দাবি করে তিনি বলেন,আজকে রাজপথ উত্তপ্ত করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় একজন অসুস্থ মহিলা, চলাফেরা করতে পারেন না। বলেছিলাম তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, কিন্তু সেই চিকিৎসাও তিনি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়া যদি আমাদের মধ্যে থেকে চলে যান, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হবে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানবাধিকারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে আমরা বলতে চাই, যদি অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে।

অনেকক্ষেত্রে বিএনপি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এমনটি স্বীকার করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন মিথ্যা মামলায় কারাগারে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই অনেকক্ষেত্রে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বানচাল করে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি করতে পারতাম। আমাদের দুর্ভাগ্য সেটা আমরা পারি নাই। সারা বাংলাদেশে আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তি উজ্জীবিত আছে, হাজার হাজার কর্মী আছে। তাদের নিয়ে আমরা মাঠে নামবো।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ সমাবেশে বক্তৃতা করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন