ঠাকুরগাঁওয়ের ৫৬ কোটি টাকার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সময় কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় জনতা। এসময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সড়ক জনপদের কর্মকর্তারা এসে তোপের মুখে পড়েন। পরে কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেয়ার পর পুনরায় কাজ শুরু করে । গত রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা হয়।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শহরের চৌরাস্তা থেকে স্টেশন রোড এলাকা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার চার লেন রাস্তা দুটি ব্রীজ ও সাড়ে ৩ ফিট দৈর্ঘ্যে ১ কিলোমিটার ড্রেনেজের কাজ সম্পূর্ন করা হবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত। সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্তাবধানে ঢাকাস্ত সিপিসিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ শুরু করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন রাস্তা নির্মান কাজের পাশাপাশি নতুন করে ড্রেনেজ নির্মানে কাজ শুরু করেন। ড্রেনেজ কাজের জন্য রোববার বিকেল থেকে ইট ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। ১ নং ইট না ফেলে ২, ৩ নম্বর ইট ফেলা হয়। তার কিছুক্ষন পর শ্রমিকরা তড়িঘড়ি করে মাটিতে ইট বিছিয়ে কাজ শুরু করে। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ তা দেখে কাজ বন্ধ করে দেয়। শ্রমিকরা উপায় না পেয়ে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার। এর পর পরই ছুটে আসেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। নির্বাহী প্রকৌশলী এসে ভাল কাজ করার আশস্ত করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। কিছুক্ষন পর নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাফাই গাইলে উভয়েই সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শামসুজ্জোহা জানান, আমি নিম্নমানের সব ইট সরিয়ে ভাল ইট দিয়ে কাজ করবো কথা দিলাম আর কোন সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শফিকুজ্জামান জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর পর কোন খারাপ ইট ব্যবহার করবে না। তবে বাকি কাজে কোন অনিয়ম হয়নি বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গাইলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন