অর্থনৈতিক রিপোর্টার : টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় সূচকের পতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। মঙ্গলবার দেশের প্রধান প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৮১ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। আর টানা ৪ দিনের পতনে ডিএসই সূচক কমেছে ৭৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সোমবার হয়েছিল ৩৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের টালবাহানার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকটে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর। লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিএসআরএম লিমিটেড। এ কোম্পানির ৪০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মবিল যমুনা। লেনদেনে এরপর রয়েছে ডরিন পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, স্কয়ার ফার্মা, পাওয়ার গ্রিড, যমুনা অয়েল, অলিম্পিক, এসিআই।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২২ কোটি ৯ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন বেড়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার বেশি। এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৫ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১০১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ১৯২ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে ৯৬৩ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ২৫ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৫৪টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বিএসআরএম লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার, মালেক স্পিনিং, কেয়া কসমেটিকস, ইস্টার্ন হাউজিং, এবিবি ফার্স্ট মি. ফান্ড, ডোরিন পাওয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, এনসিসি ব্যাংক এবং বেক্সিমকো লিমিটেড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন