উখিয়ার উপকূলীয় প্রত্যন্ত জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদলের আনাগোনা, বসতবাড়িতে হামলা, লুটপাট ও গুলি বর্ষণের ঘটনা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডাকাতি প্রতিরোধে রাতে গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ১৮/২০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল ছোয়াংখালী, বোয়াংখালী ও ইমামের ডেইল গ্রামে ৮টি বসতবাড়িতে ডাকাতি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার নিয়েছে। ছোয়াংখালী গ্রামের হাজি মিয়া হোসেন মাস্টারের ছেলে জাফর আলম জানান, ডাকাত দল বসতবাড়ির পাশের গাছ দিয়ে দোতলায় উঠে।
পরে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে লুটপাট চালায়। সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী ও জালিয়াপালং কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শহিদুল্লাহ কায়সার জানান, এসব ডাকাতদের মধ্যে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক। গ্রামবাসী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ডাকাতেরা লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল হাশেম গুলিবিদ্ধ হয়।
গত ৭ অক্টোবর রাতে ছৈয়দুর রহমানের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের হাত পা বেঁধে ৪ লাখ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। ৮ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণমারা গ্রামের সোনামিয়ার বাড়িতে ডাকাতেরা লুটপাট চালিয়েছে। ছোয়াংখালী গ্রামের নুর হোসেন মাস্টার জানান, ডাকাতের ভয়ে তারা স্বপরিবারে রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া গ্রামের খামারবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, ডাকাতি সংঘটিত হয়ার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। এখন প্রতিরাতেই মনখালী এলাকায় অবস্থান নিয়ে ডাকাতি প্রতিরোধে গ্রামবাসী পাহারা দিচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন