শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

প্রোটিয়া ক্রিকেটে ‘কালো’ ছায়া

প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : হঠাৎ করেই দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ওপর ‘কালো’ ছায়া। ডুমিনি, বাভুমাসহ বেশ কয়েজন অশ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে এমবালুলা জানিয়েছেন, সংখ্যাটা যথেষ্ট নয়। জাতীয় দলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড় নিশ্চিত করতে না পারায় বৈশ্বিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের অধিকার হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)। শুধু ক্রিকেট নয়, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাথলেটিকস, রাগবি ও নেটবলের ওপরও আরোপ করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বর্ণবাদের থাবায় দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্রাত্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে বেরিয়ে এলেও সুবিধাবঞ্চিত অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়দের এগিয়ে আনার চেষ্টা সফলও হচ্ছে না।
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এখন সেটির ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তা। ২০২২ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হওয়ার কথা সেখানে। আপাতত ৫০ কিংবা ২০ ওভারের বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকায় হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ার পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ড আয়োজনের জন্য আগ্রহও দেখাতে পারবে না। গত বছরের মে মাসে পাঁচটি ফেডারেশন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটা সমঝোতাপত্রে সই করেছিল। সেখানে বলা ছিল, দলে অন্তত ৬০ ভাগ ক্রিকেটার অশ্বেতাঙ্গ থাকতে হবে। ক্রিকেট বোর্ড ৫ শতাংশের জন্য সেটা পূরণ করতে পারেনি। সেটার জন্যই শাস্তি পেতে হয়েছে। একমাত্র ফুটবল ফেডারেশনই সেই শর্ত পূরণ করতে পেরেছে।
শুধু অশ্বেতাঙ্গ নয়, দলে কালো ক্রিকেটারদের সংখ্যা নিয়েও অসন্তোষ জানিয়েছেন এমবালুলা। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে কালো ক্রিকেটারের সংখ্যা ৯ শতাংশ। এমবালুলা মনে করিয়ে দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৮ জনগোষ্ঠীর ৮৪ শতাংশই কালো। এর প্রতিফলন কেন জাতীয় দলগুলোতে পড়বে না? এ কারণেই দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিজেদের ওপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এতে করে সব কটি ফেডারেশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার।
কিন্তু এই অচলাবস্থা কাটবে কবে? মন্ত্রী অবশ্য একটা আশার বাণী শুনিয়েছেন। এ বছর দলে কতজন অশ্বেতাঙ্গ আছেন, সেটা আগামী বছর মূল্যায়ন করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে। তবে সেটা হলেও ২০১৮ পর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনে আবেদন করতে পারবে না ক্রিকেট বোর্ড।
তবে এই ব্যাপারটাই মেনে নিতে পারছেন না জ্যাক ক্যালিস। দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে পরিচয় দিতেই লজ্জা হচ্ছে তাঁর। টুইটারে নিজের ক্ষোভও জানিয়েছেন, ‘খুবই দুঃখিত, নিজেকে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমার। এই যুগে খেলাধুলায় রাজনীতির কোনো জায়গা নেই।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান ক্রিকেটাররা অবশ্য এটা নিয়ে মুখ খোলেননি। ডেল স্টেইন শুধু খবরটির লিংক টুইট করেছেন। তবে সাবেক ক্রিকেটার প্যাট সিমকক্স অনেকটা বিদ্রæপের সুরে অন্য একটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সাঁতার ও গলফ কীভাবে এই তালিকা থেকে বাদ গেল?’a

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন