এই রোগটির সাথে ৫০শের অধিক বয়সের বেশীরভাগ মানুষই পরিচিত । ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তিরা এই রোগে বেশী ভূগে থাকেন । কিছু কিছু রোগের চিকিৎসা সঠিকভাবে না হওয়ায় রোগী ব্যাথার কারণে সোল্ডার জয়েন্টের মুভমেন্ট কম করে যার ফলে জয়েন্টটি শক্ত হয়ে যায় ।
যে সব কারণে সাধারণত ফ্রোজেন সোল্ডার হয় :
১. এডহ্যাসিভ ক্যাপসুলাইটিস
২. সুপরা –স্পাইনাটাস টেনডিনাইটিস
৩. রোটেটর কাফ ইনজুরি
৪. আঘাতজনিত ব্যাথা
৫. সারভাইক্যাল রেডিকুলোপ্যাথি
৬. প্লাষ্টার পরবরতি জয়েন্ট স্টীফনেস বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়
৭. অপারেশান পরবরতি জয়েন্ট স্টীফনেস বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়
কাধে ব্যাথা বা ফ্রোজেন সোল্ডারের জন্য রোগীর যে অসুবিধা হয় :
১. কাধে ব্যাথা বিশেষ করে রাতে বেশী ব্যাথা করে ।
২. যে কাধে ব্যাথা ওই কাধে ভর দিয়ে ঘুমাতে পারেন না কিংবা ব্যাথার কারণে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
৩. হাত সঠিকভাবে নাড়াতে পারেন না
৪. হাত দিয়ে মাথা আচড়াতে পারেন না
৫. হাত পিঠের দিকে নিতে পারেন না
৬. কাপড় – চোপড় পরতে কষ্ট হয়
কিভাবে ফ্রোজেন সোল্ডার নিরর্ণয় করা যায় ?
এই রোগটি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেকক্ষেত্রে এক্স-রে ও কিছু প্যাথলজিক্যাল টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে ।
চিকিৎসা ও করণীয় :
শুধুমাত্র ওষুধে ফ্রোজেন সোল্ডার ভাল হয় না, ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো সোল্ডার জয়েন্টের মুভমেন্ট স্বাভাবিক করা এক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার বিকল্প নাই ।
এখানে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নির্ধারণ করে থাকেন তার মধ্যে –
০ ম্যানুপুলেশন থেরাপি
০ মোবিলাইজেশন থেরাপি
০ লেজার থেরাপি
০ ইলেকট্রোথেরাপি
০ থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ
এবং পাশাপাশি রোগীকে কিছু ব্যায়াম করতে হয় ।
যেমন – ওয়াল ক্লাইম্বিং এক্সারসাইজ
০ পেনডুলাম এক্সারসাইজ
০ পুলি এক্সারসাইজ
০ সোল্ডার হুইল এক্সারসাইজ ইত্যাদি ।
চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
ধানমন্ডি, ঢাকা ।
মোবা : ০১৭৮৭-১০৬৭০২।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন