সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন- ‘শহীদ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ভীত অবৈধ সরকার এখন দিশেহারা। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে বাকশালী সরকার সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে হাতিয়ার বানিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করেছে। অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে ফরমায়েসী সাজা প্রদানের রায় জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে।’
বক্তারা আরোও বলেন, ‘রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখতে ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েসী সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আরো একটি মামলার ফরমায়েসী সাজার ষড়যন্ত্র করছে। কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দিবেনা। জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে দেশপ্রেমিক জনতা এখন ঐক্যবদ্ধ। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ফরমায়েসী সাজা বাতিল করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় বাকশালী সরকারকে কঠোর মূল্য দিতে হবে।’
রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলা রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েসী যাবজ্জীবন সাজা প্রদানের প্রতিবাদে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সিলেট জেলা ও মহানগর আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল পুর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
কালো পতাকা মিছিলটি নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে জেলরোডে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সহ-সভাপতি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সহ-সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, সহ-সভাপতি কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি শাহজামাল নুরুল হুদা, সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, মহানগর উপদেষ্ঠা সৈয়দ বাবুল, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল ও আবুল কাশেম, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দফতর সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ফখরুল হক, মহানগর পরিবার কল্যান সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক ও দিদার ইবনে তাহের লস্কর, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-শিশু সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন জয়, সহ-ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সম্পাদক এনামুল হক মাক্কু, বিএনপি নেতা শেখ কবির আহমদ, এম. মখলিছ খান, মঈনুল ইসলাম মঞ্জু, কবির আহমদ নুনু, যুবদল নেতা আমজাদ আলী, মহিবুর রহমান মুরাদ, মঈন উদ্দিন, সেলিম আহমদ, মকসুদুল করিম নোহেল, মির্জা স¤্রাট, জামিল আহমদ, এনামুল হক শামীম, লুৎফুর রহমান, কয়েস আহমদ, আলী আহমদ আলম, জামাল আহমদ খান, বাদল আহমদ, ছাত্রদল মহানগর সহ-সভাপতি জিএম সেলিম, জেলা সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর রাজন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক দুলাল রেজা, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুকিত, সেবুল আহমদ, আমজদ আলীম, রাজন আচার্য্য ও মকসুদ আহমদ রিপন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন