যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে উন্নয়নের নবযাত্রায় যোগ হবে চট্টগ্রামের মীরসরাই-নোয়াখালী সড়ক। একটি সেতুর নির্মাণ কাজ অবশিষ্ট থাকলেও আগামী নভেম্বর মাসেই এই সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে অচিরেই যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় বহুল প্রত্যাশিত সোনাপুর- সোনাগাজী-জোরারগঞ্জ সড়ক নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। গত জুন মাসেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবার কথা থাকলে ও ফেনী নদীর উপর সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান এখনো। তাই সড়কটির শুরু ও শেষের প্রায় সকল কাজ শেষ হলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারছে না সড়ক বিভাগ ।
তবে সড়ক ও জনপথের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ করিম বলেন, নির্মাণাধীন ওই সড়কের সোনাপুর (নোয়াখালী), সোনাগাজী (ফেনী) ও জোরারগঞ্জ (চট্টগ্রাম) নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অংশের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মুহুরী রেগুলেটরের পার্শ্বেই বিকল্প সেতু নির্মাণ কাজ চলছে শুধু। সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য কানেকটিভিটির নতুন দীগন্ত উম্মোচিত হবে।
তিনি আরো বলেন এই প্রকল্পে ১৮৬ কোটি টাকার প্রাথমিক বরাদ্দ থাকলেও ইতিমধ্যে ব্যয় হয়েছে ২৪৬ কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলের লাখ লাখ যাত্রী নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে চৌমুহনী-ফেনী হয়ে সড়কপথে চট্টগ্রাম যাতায়াতে ৫/৬ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়। সোনাপুর জোরারগঞ্জ সড়ক চালু হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে মাত্র দুই ঘণ্টায় যোগাযোগ সম্ভব হবে।
২০১৮ সালের জুনে বহুল প্রত্যাশিত এই সড়কটি চালুর প্রত্যাশা পূরণ না হলেও আগামী নভেম্বরে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ। সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী মাত্র দুই আড়াই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দরে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন