জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা দিনটিকে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার দিন উল্লেখ করে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পেতে গোটা জাতিকে এই দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। যুদ্ধোত্তর দেশে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনায় সীমাহীন অযোগ্যতা, অদূরদর্শিতা ও পদলেহী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করায় রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাই বিপন্ন হতে বসেছিল। একদিকে শাসকদের সীমাহীন বাঁধাহীন লুটপাট অন্যদিকে বিরোধী মতাদর্শের রাজনৈতিক কর্মীদের গণহত্যা দেশকে এক দূর্বিষহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। এ পরিস্থিতিতে সপরিবারে তৎকালীন সরকার প্রধানকে ও পরে কারারুদ্ধ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির উত্থানকে যখন নিশ্চিত করে তুলছিল, সেই মুহুর্তে দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতার সম্মিলিত বিপ্লবে আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা পায়। আর সেই ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়ন ও উৎপাদনে শীর্ষে পৌছে দিয়েছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। মীর কায়সেদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপুর পরিচালনায় কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, প্রমুখ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ হাফিজুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন