বিশেষ সংবাদদাতা : হাঁটুর লিগামেন্টে পাঁচ পাঁচবার অপারেশনেও হতোদ্যম হননি। দেশের প্রয়োজনে বোলিং করে চলেছেন, দিচ্ছেন দলকে নেতৃত্ব। মেলবোর্ন থেকে আনা বিশেষ ধরনের নি ক্যাপ পরে তরুণদের উদ্যমকেও হার মানিয়েছেন মাশরাফি। পেইন কিলার ইনজেকশন নিয়ে বোলিং করার অতীতও আছে মাশরাফির। ইনজুরির কারণে পেস বোলিং বাদ দিয়ে অফ স্পিন করেছেন, এমন দৃষ্টান্তও ঘরোয়া ক্রিকেটে রেখেছেন মাশরাফি। গতকাল প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে খেলেছেন, করেছেন বোলিং। ১০-১-৫৬-৪, এমন বোলিংয়ের প্রথম স্পেলটি আবার টানা ৮ ওভারের (৮-১-৪৫-৩)। রান আপ কমিয়ে বলের গতি কমিয়ে দলের প্রয়োজনে এমন তথ্য দিয়েছে বিডি নিউজ। এই অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেনÑ ‘শরীর ভীষণ দুর্বল ছিল। এজন্য খাটো রান আপে বোলিং করেছি। ৮ ওভারের স্পেল করেছি, কারণ বিরতি দিয়ে বোলিং করলে হয়ত শরীর সাড়া দিত না। বোলিং শুরু করার পর ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম, চেয়েছি টানা বোলিং করেই যতটা সম্ভব শেষ করতে। দলের যে অবস্থা! দু’ম্যাচ হেরেছি, একটা জয় খুব দরকার। বোলিংটা এমনিতেই ভালো হচ্ছে না দলের, আমি না থাকলে আরও দুর্বল হয়ে যায়। তাই বোলিং করলাম।’ মাশরাফির মনোবল এতোটা দেখে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী নিজেও অবাকÑ ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি ওকে বলেছিলাম যে খেলার দরকার নেই। কিন্তু সে তো মানুষ নয়, অন্য কিছু। দলের কথা ভেবে তার পরও নেমে গেছে খেলতে। এমন একজন অধিনায়ক যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, তাকে দেখে বাকিদেরও উচিত নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়া। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের ছেলেরা সেটি পারল না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন