ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সমুদ্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিমরাড-এর আয়োজনে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক সেমিনার গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ মেরিটাইম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট(বিমরাড)এর আয়োজন করে।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেমিনারে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মেরিটাইম বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও ফারুক সোবহান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব অনুধাবণ করে ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার এন্ড মেরিটাইম জোনস এ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে, যা বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্ভবনার দুয়ারকে উন্মোচিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে দেশ এখন দ্রæত গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবে বলে আশা করা যায়। এই লক্ষ্য অর্জনে সমুদ্র অর্থনীতির উপর গুরুত্ব আরোপের কোন বিকল্প নেই। বিমরাড এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নৌবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের এক বিশাল সমুদ্র এলাকা। এই সমুদ্র মৎস ও খনিজসহ বিভিন্ন সম্পদে পরিপূর্ণ। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এই সম্পদকে কাজে লাগানোর কোন বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন